Posts

বাস্তবের কার্টুন

 ছোট্ট আমার কাঁকড়া- বাবার পিঠে চড়ে বেড়ায় করে যত ব্যাকরা। ছোট্ট বাবা সারস- কাঁধে করে বয়ে বেড়ায় নিয়ে স্নেহের পরশ। এমন করে চলে- বাবা ছেলের কার্টুন খেলায় জীবন কথা বলে। ছোট্ট আমার ইঁদুর- বন সিংহের ঘুম ভাঙাল হালুম শুনে দে দৌড়। ছোট্ট বন্ধুর প্রাণকর্তা সাজা- সিংহ যখন আটকে পরে জাল কেটে বাঁচায় রাজা। এমন করে চলে- কার্টুন কার্টুন খেলার মাঝে শৈশব কথা বলে। মজার গল্প এমনভাবে স্মৃতির কলস ভরে, সবার ঘরে বাবা ছেলে থাকুক এমন করে।                      ----তমাল---

চল ফিরে যাই

 চল ফিরে সে অতীত সাদা কালোয় চল খুঁজি সেই তেপান্তরের মাঠ, ঘিরে ধরে স্কুলের ছেলেবেলা চল বন্ধু বাড়াই মোদের হাত। কত গল্পের ইতিহাস লেখে ফলক কত বিকেলের টিউশন বওয়া সাইকেল, কাঁধে বই নিয়ে আমাদের ছেলেবেলা কবিতার বুলি রবীন্দ্র বা মাইকেল। বুক দুরুদুরু ক্লাসের কড়া পিরিয়ড কত গল্পের আড্ডার সব কালবেলা, প্রিয় বন্ধুর টিফিন টুকরো শেষ করে চল ফিরে যাই খুঁজি তারে এইবেলা। কত চেনা মুখ অচেনা লাগে আজি কত বন্ধু হারিয়ে গেছে দূরে, হারতে আমরা তখনো শিখিনি জানি বন্ধন লেখে সবাই মনের সুরে। চল ফিরে চল আবার যাই স্কুলে চল হয়ে যাই আবার কচি খোকা, চল ছুঁড়ে দিই কাজের সব বোঝা হবে না জানি,তবু আশায় নিজেকে বানাই বোকা।                                   -----তমাল

ছোট্ট রবির জন্মদিন

 ছোট্ট রবির জন্মদিন ছোট্ট রবি প্রাণের কবি তোমার শুভ জন্মদিন, কবির কাব্যে পাল তুলে দিই তোমার কাছে সবার ঋণ। তোমার লেখার পদধ্বনি তোমার গানের কথকলি, সুরের আকাশ মূর্ছনা দেয় আমরা আজো তোমায় বলি। অনেক কিছু দিলে তুমি সাহিত্য জুড়ে তোমার ছবি, তোমার ছন্দে মাতাল আবেগ ফিরে এসো বিশ্বকবি।

ওরা থাকে ওধারে

 ওরা থাকে ওধারে.....… ক্ষিধের জন্য লড়াই ওদের,নেই যে পেটের ছুটি কেমন করে কাটবে ওদের, দিনান্তে জোটেনা রুটি। তোমরা যারা মাইনে পাও-ক্ষিধে হয়তো মিটবে, লকডাউনে পেটের জ্বালায়,ওদের কেমন চলবে! সব গল্পেতে বলী হয়ে যায় -দিনমজুরের দল, সব ব্যর্থতা কাঁধে নিয়ে চলে,ওদের নেই যে বল! সব শুন্যতা জমে থাকে বুকে- চিৎকার করে মরণ, আধুনিক এই দেশের শাসনে, প্রতিবাদ করা বারণ। সব ভাবাবেগ দিশেহারা হয়,মেটেনা ক্ষিদে বুলিতে বাড়িতে নেই জমানো রাশি, নেই অন্ন ঝুলিতে। তোমরা যত নিয়ম কর,নিয়ম চাপাও নিজের মতো ওরা থাকে ক্ষিদের দেশে,হয়ে তোমার শরণাগত। দেশের যত অমৃতভোগ,তোমার জন্য জমায় লোক, নীলকণ্ঠের বিষের ভান্ড,বুভুক্ষু পেটে হজম হোক। সব লড়াইটা লড়ে যায় ওরা,তবু রেখে দিই দূর- দেশের লড়াইয়ে অনশনে থাকে,খোঁজে মিলনের সুর। সব কবিতায় মেঘলা আকাশ, ওদের তরুণদল- সভ্যতার জোয়াল ধরে ওদের বাহুবল । সবকান্নারা জমে থাকে চোখে-ওরাই দেশের জীবন, আধুনিক এই মানববিকাশে,তবু আপন করা বারণ! তোমরা যারা মাইনে পাও- ক্ষিধে হয়তো মিটবে, আধপেটা আর উপবাসে,ওদের লকডাউন কিন্তু চলবে।।                                

আমার দেখায় সংক্রমণ ও সহাবস্থান

আমার দেখায় সংক্রমণ ও সহাবস্থান প্রেক্ষাপট: ধরে নিন এটা কোনো- নার্সিংহোমে এ বসে লেখা কিছু আবেগ বা অনুভূতির কথা। পজিটিভ সিম্পটম থেকে ধরে নিই পজিটিভিটির বা সচেতনতার গল্প। এ গল্পের সূচনা হয়তো অনেক আগেই দরকার ছিল। এ গল্পের অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়ির পথমুখী। ভাইরাস কিংবা প্রকৃতির মারণ খেলার মাঝে- কাঠপুতুল মানুষ আজ কতটা অসহায় এই কদিনে উপলব্ধির দৃশ্যমান কান্ডারী আমি।কতগুলো টুকরো গল্প,কতগুলো অসহায় মুখ,প্রতিটি মুহূর্তে মানসিক টেনশন,কত একাকীত্ব,কতগুলো বেঁচে থাকার লড়াই,স্বাস্থ্যকর্মীদের অমানুষিক পরিশ্রম-না দেখলে জীবনের একটা অংশ যেন বাকি থেকে যেত।কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি,কিছু বন্ধন দৃঢ় হবে আসা করি- গল্প ১: বাবা ও ছেলে(বয়স 65) ভ্যাকসিন নেয়ার দুতিন দিনের মধ্যে অনেকের জ্বর আসছে।অনেকের ভালো হয়ে যাচ্ছে,অনেকের হচ্ছে না।বিশেষত যাদের এলার্জি প্রবলেম আছে তাদের একটু হয়তো প্রবলেম হচ্ছে।যদিও বলে রাখি মেডিক্যাল ডিগ্রি আমার নেই।এমন কেসে বাবারও দুতিন দিন জ্বর,পরে ভালো হলেও শরীর দুর্বল,প্রেসার কম ও অক্সিজেন লেভেল 90 এর ঘরে আপ ডাউন।এসময় হয়তো অনেক বাড়িতে অক্সিমিটার আছে,যাদের নেই,সচেতন হতে হবে।জ্বর যাই হোক না কেন -অক্সিজে

কবিতা তুমি

 কবিতা তুমি বলতে পারো আমার কথা বলতে পারো রোদের হাসি-গোপন ব্যথা। কাঁদতে পারো দুঃখের স্রোতে অনাহারে যে মানুষ লড়াই করে জীবন স্রোতে। কবিতা তুমি ভাবতে পারো ওদের কথা যে বুড়িমা ভিক্ষা করে সবার ভিড়ে যে ছেলেটা খাটে রাস্তায় বই ছেড়ে ক্লান্তি আর অনাহারে ফেরে নীড়ে। কবিতা তুমি হাসতে পারো ওদের দেখে শপিং মলে যে বাবুরা আয়েশ করে- যে বেবীটা পিৎজা খায়, আর ড্যাডি বলে, যে ছেলেটা আরাম করে মায়ের কোলে। কবিতা তুমি কাঁদতে পারো ওদের ভেবে, যে প্রবীনের হয় না ঠাঁই নিজের ঘরে। যাদের নিয়ে ভাবে না কেউ আপন করে, কবিতা তুমি গল্প লেখো ওদের ভেবে। কবিতা তোমায় জানতে হবে সবার কথা, কবিতা তোমায় লিখতে হবে সবার ব্যথা। কবিতা তুমি ছেড়ো না হাল, দিয়ো আশা, কবিতা তুমি নবীন প্রবীন সবার ভাষা।

ব্যস্ত জীবন

কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকি কাজ কাজ শুধু কাজ, বাড়ির গৃহিণী গালি দেয় ফোনে- নেই মোর কোনো লাজ। কাজের আমি কাজের তুমি কাজ ধ্যান জ্ঞান মন্ত্র, কাজের চাপে চিড়ে চ্যাপ্টা হয়ে গেছি যেন যন্ত্র। অফিসের কাজ,মেলের কাজ জুতো সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ- SI সাহেব একাকী লড়ে অফিস যেন গড়ের মাঠ। মিটিং মিছিল ঝুট ঝামেলা Teacher রাজনীতি,CPC র ঠ্যালা- DDO র কাজ,টেনশনে থাকি, ফোন ধরে ধরে কান ঝালাপালা। মুখ ফোটে না কাজের চাপে বুক ফেটে যায় দীর্ঘশ্বাসে- বাড়ির কাজ যে বাকি থেকে যায় আমরা থাকি নাভিশ্বাসে। বুঝবে কি কেউ মোদের জ্বালা, কাজের ঠ্যালা কাজের মেলা- আমাদেরও যে জীবন আছে, চাই না এত ঝালাপালা ।।